চুইংগাম বিষয়ক কবিতা || আল নোমান
০১
তেলের বোতলে উঁকি দিতেই মাথাটা বোতলের মধ্যে পরে গ্যালো। বোতলে সোনামুখি সুঁই ছিল। আমার চোখে গেথে আছে। ছিপিটা দিয়ে গলা আটকে দাঁড়িয়ে আছি।
০২
দুহাতে পুঁইডাটা। আমি পুঁইলতাটার খুব কাছে দাঁড়িয়েছি। ভয় লাগছে। অযত্নের পরেও লতাটা বেড়ে উঠেছিল। হিংস্র কুকুরের মত ছিরে এনেছি লতা-পাতা।আমি কি পুঁইলতাটার কাছে আরো কিছুক্ষণ বসে থাকতে পারি!
০৩
কবুতরের হাঁটে এক পায়ের ঘোড়া দেখে কান থেকে একহালি লালপিঁপড়ে বেরিয়ে এলো। সব কবুতর সব মানুষ কিছুক্ষণ আমাকে দেখছিল। পাশের পুকুরে ভেসে ছিল কিছু ডাবের খোসা, আর দেবীর দুটি হাত। আমি আমার চোখ দুটো খুলে লুঙ্গির ভাঁজে রেখে; এক পায়ের ঘোড়ার চড়ে বাড়িতে এলাম।
০৪
পকেটেই খুঁজে পেলাম সুটকেসের চাবি। দীঘির পাশে প্রতিদিন একটা একটা গাছ একটু একটু বয়স্ক হয়ে যায়। কচি ডাবের পানি খেতে আসা বালিকার দীর্ঘ চুল দেখে লেলিয়ে পরে দক্ষিনা বাতাস। তবুও, চুপি চুপি সুটকেসের কাছে যাই। খুলে দেখি আমার প্রেমিকা তেলাপোকা হয়ে হেটে যাচ্ছে।
০৫
পুকুর থেকে একজন বৃদ্ধ কাছে এসে আমার পরিচয় জানতে চাইল। আমি জানালাম তাকে-আপনার মত পুকুর থেকে উঠে এসে বলব একদিন। লোকটি আবার পুকুরে ডুবে গেল। আমি ছিপ ফেলে কিছু কৈ মাছ ধরলাম।
০৬
আমি এবং আমার প্রেমিকা জাল ফেলে হৃদয় আবিস্কার করেছি। বুঝলাম আমাদের একটা হৃদয় থাকার কথা ছিল না। যখন একমাত্র যৌথহৃদয়টি কুকুর ছিনিয়ে নিয়ে গেল। তখন থেকে আমাদের কোন হৃদয় নেই।
০৭
ডান হাতে মোচড় দিতেই খুলে গেল সমস্থ হাত। এই পরিত্যক্ত হাত নিয়ে আমি এখন কোথায় যাই! শিশুটা খুব কাঁদছে।
০৮
আমাকে যতই তুমি কেটে কেটে রঙ মাখাও আমি বাজারে গিয়ে বলে দিব তোমার মাখানো রঙে ভেজাল ছিল। আরও তুমি প্রতিষ্ঠানবিরোধীতার নীতিমালা মানছো না। আমাকে যতই জীবিত ভাবো; তুমিও আমি আসলে মৃত। একথা তুমি পাল্টে দিয়ো না।